নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে, তারপরই ক্রিকেট ফিক্সিং

Published : ১৫:২৬, ১ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালক পর্ষদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তার সঙ্গে আরও ১৪ জন প্রভাবশালী প্রার্থীও এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে সরে গেছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তামিম বলেন, “আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি, কারণ নির্বাচনটি নোংরামি এবং অগ্রহণযোগ্য। এটি আসলে নির্বাচন নয়, বরং বোর্ডের জন্য একটি কালো অধ্যায়। আমি এমন নোংরামির সঙ্গে থাকতে পারব না।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রিকেট হেরে গেছে। নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে। এটি নির্বাচন নয়, এটি বোর্ডের জন্য কালো অধ্যায়। নোংরামির সঙ্গে থাকতে পারব না—এটাই আমাদের প্রতিবাদ।”
তামিমের মতে, নির্বাচনটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি শুরু থেকেই বলেছি, নির্বাচনটি কীভাবে হচ্ছে বা কোন দিকে যাচ্ছে তা সবাই দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে তখন তা করা হচ্ছে। এটি আসলে নির্বাচন নয়, এবং ক্রিকেটের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।”
তিনি জানান, যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, তারা অধিকাংশই প্রভাবশালী ও শক্তিশালী ভোট ব্যাংক সম্পন্ন প্রার্থী। তাদের এই সরে আসা বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত প্রতিবাদ। তামিম বলেন, “আজকে কারা প্রত্যাহার করেছে তা চূড়ান্ত তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে। তারা নিজেদের জায়গা থেকে হেভিওয়েট। এটি আমাদের প্রতিবাদ, যাতে আমরা এই নোংরামির অংশ না হই।”
তামিম জোর দিয়ে বলেন, “বিভিন্ন সময়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। তবে দিন শেষে আমাদের কোনোভাবেই এই নোংরামির সঙ্গে থাকতে পারব না। বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এটি ডিজার্ভ করে না।”
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তামিমসহ মোট ১৫ জন প্রভাবশালী প্রার্থীর নির্বাচনে সরে যাওয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি বিতর্ক বহুগুণে বেড়ে গেছে।
বিডি/এএন