আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬–এ
র দল তালিকা এখন সম্পূর্ণ। টুর্নামেন্টের শেষ দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে জাপানকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে তারা নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণ।এই অঞ্চলের বাকি দুটি দল নেপাল ও ওমানও বুধবার নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফলে এবারের আসরে এশিয়া মহাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক আটটি দেশ অংশ নিচ্ছে—যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা।
বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া ২০টি দেশ এসেছে তিনটি ভিন্ন পথের মাধ্যমে। স্বাগতিক হিসেবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা অনেক আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছিল। পাশাপাশি ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা সাত দল স্বয়ংক্রি
য়ভাবে পেয়েছে পরবর্তী আসরের টিকিট—যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। র্যাঙ্কিংয়ের সুবাদে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকেও আর বাছাইপর্ব খেলতে হয়নি।
অন্যদিকে, বাকি আটটি দেশ এসেছে চার মহাদেশের বাছাইপর্ব পেরিয়ে। মোট ৮৭টি দেশ অংশ নেয় এসব বাছাই প্রতিযোগিতায়, অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮৮টি ম্যাচ, আর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে লেগেছে প্রায় দেড় বছর সময়।
এবার এশিয়া অঞ্চল থেকে তিনটি, ইউরোপ ও আফ্রিকা থেকে দুটি করে এবং আমেরিকা অঞ্চল থেকে একটি দেশ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক নিঃসন্দেহে ইতালি, যারা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরে খেলতে যাচ্ছে।
ফরম্যাটের দিক থেকেও বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। ২০ দলকে ভাগ করা হবে চারটি গ্রুপে, প্রতিটিতে থাকবে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুটি দল যাবে সুপার এইট পর্বে, সেখান থেকে নির্ধারিত হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
যদিও বিশ্বকাপের উদ্বোধনের সঠিক তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর তালিকা এখন সম্পূর্ণ ও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ:
ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, কানাডা ও ইতালি।
চমক, প্রত্যাশা আর নতুন ইতিহাসের আবহে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬—যা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে হতে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও রোমাঞ্চকর আসর