সংখ্যালঘুর জমি দখলের পায়তারা, বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সংখ্যালঘুর জমি দখলের পায়তারা, বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:২৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জমি দখলের পায়তারা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাহানারা বেগম গংয়ের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে গৌরীপুর সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নীলাঞ্জনা সরকার শান্তনা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গৌরীপুর পৌরসভার কালীপুর মধ্যমতরফ (কলাবাগান) এলাকার ০৭ শতাংশ জমি তাঁর মা জোৎস্না রানী সরকার ১৯৯৭ সালে বৈধ দলিলমূলে ক্রয় করে নিজ নামে পৃথক জমাখারিজ খতিয়ান খুলে ভোগদখল করে আসছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী জমিটির একমাত্র মালিক হিসেবে নীলাঞ্জনা সরকার নিজ নামে জমাখারিজ করে নিয়মিত খাজনা ও পৌরকর পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী মোছাঃ জাহানারা বেগম, আব্দুল হান্নান জনি ও আম্বিয়া খাতুন – প্রভাবশালী হওয়ায় সংখ্যালঘু হিসেবে তাঁকে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই জমি বেদখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ২০২১ সালে গৌরীপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদীগণের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

লিখিত বক্তব্যে নীলাঞ্জনা আরও জানান, পিতার চিকিৎসা ও নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে বাধ্য হয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট জমি গৌরীপুরের “৯১ বন্ধু সমিতি”র নিকট বিক্রি করেন। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর জমি মাপতে গেলে বিবাদীরা এসে “মালাউনের বাচ্চা”, “তোকে ভারত পাঠিয়ে দেব” ইত্যাদি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি পরে ওই জমিতে স্থাপিত মালিকানা সংক্রান্ত সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি, বাবা অসুস্থ। প্রভাবশালী বিবাদীগণের হুমকির কারণে আমরা ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।”

নীলাঞ্জনা সরকার শান্তনা আরও জানান, বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার অফিসার ইনচার্জ, সেনা ক্যাম্প ইনচার্জ ও গৌরীপুর পৌর প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।

তিনি প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানান, “আমাদের সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং আমার বৈধ জমি দখলের অপচেষ্টা রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

অভিযোগের ব্যাপারে আব্দুল হান্নান জনি বলেন, বিষয়টি কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। মাপামাপি করে নিজ নিজ জায়গা উভয় পক্ষ বুঝে নিবে, এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আলোচনায় অভিযোগকারীর পরিবার, ৯১ বন্ধু সমিতির লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ কেন তাঁরা অভিযোগ দিলেন ও সংবাদ সম্মেলন করলেন, বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement