শীত আসছে, শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত আবহাওয়াবিদদের

Published : ১০:৪৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘ সময়জুড়ে চলা এ বছরের বর্ষা মৌসুম শেষপ্রায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় নিতে পারে। এর মধ্য দিয়েই শেষ হবে ২০২৫ সালের দীর্ঘস্থায়ী বর্ষাকাল।
দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই মৌসুমের পরিবর্তনের ছোঁয়া মিলেছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সকাল-বিকেলে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক— কোথাও হালকা, কোথাও আবার ঘন কুয়াশা। ফলে শরতের সঙ্গে সঙ্গে শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবনে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন মাস মেয়াদি মৌসুমি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ৩ থেকে ৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
অক্টোবরের প্রথমার্ধেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এই সময়টায় ৩ থেকে ৬ দিন মাঝারি থেকে ভারী বজ্রবৃষ্টি এবং ৪ থেকে ৮ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে, তবে তা এখনো স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শীত মৌসুমে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরের জেলা থেকে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে শীতের পরশ, যা জানুয়ারিতে গিয়ে আরও তীব্র রূপ নিতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিডি/এএন