চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পদ্মা নদীর পানি অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় রোপা আউশ, ভুট্টা ও শাকসবজির আবাদকৃত প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষক ও স্থানীয় জনজীবন ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নে যথাক্রমে ১ হাজার ও ১ হাজার ৩৫০ পরিবার এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। দুর্লভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, দোভাগী, ফিল্টেরহাট, নামোজগন্নাথপুর ও বাদশাপাড়া এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিঞা জানান, পদ্মা নদীর অস্বাভাবিক জলস্তরের কারণে ১ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে, যার মধ্যে আউশ ধান, সবজি, হলুদ ও কলা অন্তর্ভুক্ত। সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুনাইন বিন জামান জানান, ৫৯৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্লাবিত এলাকার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পানির নিচে থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, উঁচু স্থানে পাঠদান চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ০.৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করছে এবং চাল, তেল, শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করছে। শিবগঞ্জে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।