জুবায়েদ হত্যা: তদন্তে মিলল নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

Published : ১২:২৩, ২১ অক্টোবর ২০২৫
পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে সংঘটিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে নিজ ছাত্রী বর্ষার বাসার নিচেই নির্মমভাবে খুন হন জুবায়েদ। ঘটনার পর প্রথমদিকে ধারণা করা হচ্ছিল, বর্ষা হয়তো নির্দোষ; তবে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও অবাক করা তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন ছাত্রী বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহীর রহমান। হত্যার দিন মাহীরের সঙ্গে আরও দুই বন্ধু যুক্ত ছিল। তারা নতুন করে দুটি সুইচ গিয়ার কিনে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। প্রাথমিকভাবে হত্যার ধারণা ছিল হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা, কিন্তু তদন্তে দেখা যায় এটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যা।
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, “বর্ষা ও মাহীরের সম্পর্ক প্রায় নয় বছরের পুরোনো। কিন্তু সম্প্রতি বর্ষা জুবায়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং মাহীরকে এ সম্পর্ক শেষ করতে বলেন।” কিছুদিন পর বর্ষা আবার জানান যে, জুবায়েদকে আর ভালো লাগে না। এরপর থেকেই মাহীর ও বর্ষা মিলে জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ওসি আরও জানান, প্রথমে বর্ষা হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে মাহীরকে মুখোমুখি করলে তারা দুইজনই হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করেন। জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই তারা জুবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করে। এ ঘটনায় বর্ষা ও মাহীরসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে, এবং মামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
তদন্তে জানা গেছে, জুবায়েদ প্রায় এক বছর ধরে বর্ষাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। নিহত জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যদের আহাজারির মধ্যে সোমবার রাতে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জুবায়েদকে দাফন করা হয়। এই ঘটনাটি এখন পুরান ঢাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিডি/এএন