বারবার বিঘ্ন নয়, স্থায়ী সমাধানের বার্তা প্রধান বিচারপতির

Published : ১১:১১, ২৭ আগস্ট ২০২৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাজনৈতিক দলসহ ছয় ব্যক্তির দায়ের করা চারটি আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর সমাধান প্রয়োজন, যেন একই ইস্যুতে বারবার বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।
এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিভিউ আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে বিশেষ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং জানানো হয়, এটি সংবিধানসম্মত। সেইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের সুযোগও দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। তবে ২০১১ সালে সংসদে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে তুলে দেওয়া হয়।
BD/AN