আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৬২ জন সাক্ষী হাজির হবেন আদালতে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২’র চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এ মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন আসামির বিচার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ২৪ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। আর বাকি ছয়জনকে সকালে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন  এএসআই আমির হোসেন, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ।

গত ২৮ আগস্ট প্রথম দিনে শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হকও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তবে তার জেরা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আজকের শুনানির শুরুতেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারও আগে, ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। পলাতক আসামিদের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়, যারা ২২ জুলাই থেকে নিয়মিত শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।

গত ৩০ জুলাই রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা আসামিদের হয়ে সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সুজাত মিয়া পাঁচ আসামির পক্ষে, মামুনুর রশীদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের হয়ে, আর ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম পৃথক আসামিদের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়া ২৯ জুলাইও তিন আসামির হয়ে আলাদা করে আইনজীবীরা সাফাই বক্তব্য দেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল গত ২৪ জুন। পরে ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে। ২৮ জুলাই অভিযোগ গঠনের ওপর প্রসিকিউশনের শুনানি সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, এ মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হবে।