যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসংযোজিত রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ
Published : ০০:৫০, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। শীর্ষে আছে কম্বোডিয়া, আর তৃতীয় স্থানে ভিয়েতনাম।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আইএমএফ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কম্বোডিয়া—২১ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশ, যা দেশটিকে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে গেছে। ভিয়েতনাম ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিপরীতে, জাপান, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান এই খাতে পিছিয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর রপ্তানির প্রধান গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এই অঞ্চলগুলো শুধু রপ্তানির বড় বাজারই নয়, বরং রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম উৎসও বটে। ফলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি ব্যয় মেটানোসহ বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আইএমএফের বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখে এবং শ্রমবাজার উন্নয়ন, কর্মীদের জীবনমান বৃদ্ধি ও পণ্যে মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির নীতি সহায়তা জোরদার করে। যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পণ্য রপ্তানির জন্য মূল্য সংযোজনের হার বৃদ্ধি করাই এখন প্রধান চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এ খাতে কম্বোডিয়া সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও মূল্য সংযোজিত পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিই সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। পাশাপাশি চামড়াজাত ও হস্তজাত পণ্য রপ্তানিতেও দেশের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। এসব পণ্যে মূল্য সংযোজনের হার বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।
বিডি/এএন

































