ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, আহত ২৫

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, আহত ২৫ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০১:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস ওরফে নগর বাউলের নির্ধারিত সংগীতানুষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে জেমসের সংগীত পরিবেশনের কথা ছিল।

আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে বহিরাগত কয়েকজনকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হলে তারা উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে এবং মঞ্চ দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা পিছু হটলেও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাত ১০টার দিকে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম মঞ্চে উঠে জেলা প্রশাসকের নির্দেশের কথা জানিয়ে জেমসের অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দেন।

বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক রাজীবুল হাসান খান বলেন, অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। তবে হঠাৎ কারা এবং কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি। তিনি জানান, ইটের আঘাতে স্কুলের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় ও উদযাপন পতাকা উত্তোলন, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শপথ পাঠ এবং ব্যানার, ফেস্টুন ও ঘোড়াগাড়িসহ বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুক্রবার রাতে র‍্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নির্ধারিতভাবে জেমসের সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটার কথা ছিল।

১৮৪০ সালে যাত্রা শুরু করা ফরিদপুর জিলা স্কুল ব্রিটিশ ভারতের সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি। দীর্ঘ দেড় শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আন্দোলন ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এবং এখনো সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement