ভারতের সতর্কবার্তা: এইচ-ওয়ান বি ভিসার নতুন ফি ডেকে আনতে পারে ‘মানবিক বিপর্যয়’

ভারতের সতর্কবার্তা: এইচ-ওয়ান বি ভিসার নতুন ফি ডেকে আনতে পারে ‘মানবিক বিপর্যয়’ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৫:২০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে এইচ-১বি ভিসার আবেদন ফি ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছেন। আদেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত ফি প্রদান না করলে আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের পর ভারত সরকার জানিয়েছে, দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন করে ধার্য করা এই বিপুল পরিমাণ ফি (প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি) ‘মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুক্রবার নির্দেশনা জারি করেন, আর আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন ফি, যা পূর্বের তুলনায় ৬০ গুণ বেশি।

২০২৪ সালে ইস্যু হওয়া সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরা ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশীদার।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “এই সিদ্ধান্তে পারিবারিক জীবনে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে, যা মানবিক দিক থেকে গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে দক্ষ পেশাজীবীদের আদান-প্রদান দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন নীতিনির্ধারণে পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনায় রাখা উচিত।”

যদিও ভারত সরকার কোনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া বা পাল্টা ব্যবস্থা ঘোষণা করেনি, তবে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবেন আলোচনায় অংশ নিতে—এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

হোয়াইট হাউসের দাবি, অনেক প্রতিষ্ঠান এই ভিসার অপব্যবহার করছে, যার ফলে মার্কিন কর্মীদের মজুরি কমছে এবং আইটি খাতের চাকরি বিদেশে চলে যাচ্ছে। তবে তারা জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় কিছু আবেদন ‘কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে’ ছাড় পেতে পারে। নতুন নিয়ম শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য, বর্তমান ভিসাধারী বা নবায়নের ক্ষেত্রে নয়।

এই সিদ্ধান্ত এল এমন সময়ে, যখন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ও ট্যারিফ আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ৪১.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ভারতের কাছ থেকে আমদানি করেছে ৮৭.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা প্রায় দ্বিগুণ।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement