হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী

হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:২১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি নেপালে সংঘটিত জেন-জি বিপ্লবের জোয়ারে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে টানা নয় দিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন কে পি শর্মা অলি। প্রকাশ্যে এসেই দেশবাসীর উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবিধান দিবস উপলক্ষে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ নিয়ে বক্তব্য রাখেন অলি। তিনি দাবি করেন, ঘোষিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ষড়যন্ত্রকারীরা অনুপ্রবেশ করে সহিংসতা ছড়িয়েছে। খবর দিয়েছে দ্য ইকোনমিক পোস্ট

অলি লিখেছেন, “গত সপ্তাহের আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ বলা হলেও সেখানে বাইরের লোকজন প্রবেশ করেছিল। আন্দোলন আহ্বানকারীরাও এ সত্য স্বীকার করেছে। তারাই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটায়, যাতে নিরীহ তরুণদের প্রাণহানি ঘটে।”

তিনি আরও বলেন, সরকার কখনো বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি। বরং যেসব স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, তা নেপাল পুলিশের অস্ত্রাগারে নেই এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এ বিষয়ে অবিলম্বে তদন্ত দাবি করেন অলি।

নিহত তরুণদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একইসঙ্গে সতর্ক করে দেন, আন্দোলনের সময় যে সহিংসতা হয়েছে তা কেবল তাৎক্ষণিক নয় বরং নেপালের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের ওপর বড় আঘাত হানতে পারে।

চারবারের এ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “আমার পদত্যাগের পর সিংহ দরবারে অগ্নিসংযোগ, জাতীয় মানচিত্র পোড়ানো, রাষ্ট্রীয় প্রতীক নষ্ট করা হয়েছে। এমনকি বিচারব্যবস্থা, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়, নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

অলি কোথায় থাকবেন তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় নয় দিন কাটানোর পর তিনি একটি ব্যক্তিগত জায়গায় চলে গেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেনা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর সরকারের আরোপিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়েই এই বিদ্রোহের সূচনা হয়। দ্রুত তা দুর্নীতি ও অভিজাত শ্রেণির অপচয়ের বিরুদ্ধে তরুণদের এক ব্যাপক আন্দোলনে রূপ নেয়। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সহিংসতায় অন্তত ৭২ জন নিহত ও দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনসহ একাধিক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গত ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কেপি শর্মা অলি।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement