ব্রিটেনের ঘোষণা: সাত দিনের মধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি

ব্রিটেনের ঘোষণা: সাত দিনের মধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০১:০৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই সপ্তাহান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি دینے ঘোষণা দিতে পারেন। তবে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এটি করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের পরে, যেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রধান আলোচনায় না ওঠে।

স্টারমার ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, যদি গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করে দুর্যোগহ্রাসে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং দ্রুত একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক প্রবেশপথ নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনের আগেই (সেপ্টেম্বরে) লন্ডন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের অধিবেশন ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে, এ সময়কেই তিনি সামনে রেখে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

তবে এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে লন্ডনের মতানৈক্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। মার্কিন প্রশাসন এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশে নেই, ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে এ ইস্যুতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সাথে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো কিছু দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানানো হয়েছে।

গত জুলাইয়ে লেবার পার্টির ভেতরে বাড়তি চাপের মুখে স্টারমার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে লন্ডন বিষয়টি বিবেচনা করবে; যেমন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, স্থায়ী শান্তির রোডম্যাপ গ্রহণ করবে এবং জাতিসংঘকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাধামুক্ত রাখবে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বাস্তবে এসব শর্ত পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা ছোটই। গাজায় চলমান স্থল অভিযানের মধ্যে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে যা পরিস্থিতিকে জটিল করেছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান সম্প্রতি গাজার পরিস্থিতি ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন; তিনি বলেন, হাজারশত শিশু প্রাণহীন হওয়ার মতো দুর্ভাগ্য দেখা দিয়েছে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং ত্রাণবিতরণে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে—এসব পর্যবেক্ষণ মিলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়।

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিশনও জানিয়েছিল, তাদের মনে হয় গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ঘটনা ঘটছে—তবে ইসরায়েল তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে রিপোর্টটিকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ আখ্যা দিয়েছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement