গাজায় প্রতি চার শিশুর একজন তীব্র অপুষ্টিতে

Published : ২০:০০, ১২ অক্টোবর ২০২৫
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা এক নজিরবিহীন মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের ফলে সৃষ্ট ক্ষত এতটাই গভীর যে, পুনর্গঠন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রক্রিয়া বহু বছর ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংঘাতের কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। আনুমানিক ১ লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের প্রয়োজন। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে কারণ ৩৮টি হাসপাতাল এবং কয়েক ডজন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস বা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে আহত ও অসুস্থরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, তীব্র দুর্ভিক্ষ পুরো গাজাকে গ্রাস করেছে। প্রতি চারটি শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পানিসম্পদ ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে ৯৬ শতাংশ পরিবার তাদের দৈনন্দিন মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না।
আবাসন খাতেও ধ্বংসের চিত্র ভয়াবহ। প্রায় ৩ লাখ বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যা এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়হীন করে দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গাজার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে ৬৭০টি স্কুল এবং ১৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ গাজার মানুষের জন্য এক অন্ধকার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরি করেছে, যেখান থেকে পুনরায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
বিডি/এএন