থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এই তথ্য জানিয়েছেন আয়োজক দেশ মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান।

চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তে সংঘটিত হয় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ, যেখানে অন্তত ৪০ জন নিহত এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হন। পাঁচ দিন ধরে চলা এই লড়াই শেষ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায়, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের জানান,

“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করতে উদ্‌গ্রীব।”

তিনি আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়া সফর করবেন, যেখানে তিনি ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। মোহাম্মদ হাসান বলেন, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে, যাতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আরও বিস্তৃত যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

এই চুক্তির অংশ হিসেবে দুই দেশকে সীমান্ত এলাকা থেকে সব স্থলমাইন অপসারণ এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় পক্ষ এসব শর্ত পূরণ করবে এবং আসিয়ান সম্মেলনের সময় শান্তি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা স্বাক্ষরিত হবে।

মোহাম্মদ হাসান বলেন,

“আমরা একে ‘কুয়ালালামপুর ডিক্লারেশন’ বা ‘কুয়ালালামপুর অ্যাকর্ড’ বলতে পারি। মূল লক্ষ্য হলো, এই দুই প্রতিবেশী দেশ যেন স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফেরানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে।