যোগ্যতার ভিত্তিতে কারও পদোন্নতি দেননি শেখ হাসিনা - মাহমুদুর রহমান

Published : ১৬:৪৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে পুলিশ ও প্রশাসনে পদোন্নতি কখনোই যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়নি। তার দাবি, ওই সময়ে তোষামোদ আর রাজনৈতিক আনুগত্যের মাধ্যমেই গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করা হতো কর্মকর্তাদের।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে হাজির হন তিনি।
জবানবন্দি শেষে শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা শুরু করেন। জেরার একপর্যায়ে আইনজীবী বলেন “২০০৮ সালে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পেছনে ডিজিএফআইয়ের কিছু কর্মকর্তা ভূমিকা রেখেছিলেন। তারা পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতায় পদোন্নতি পেয়েছেন, কোনো পুরস্কার হিসেবে নয়।”
এর জবাবে মাহমুদুর রহমান দৃঢ়ভাবে বলেন, “এটি সত্য নয়। শেখ হাসিনার আমলে তোষামোদ ছাড়া কোনো পদোন্নতি হয়নি। তার শাসনামলে কেউ যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চপদে আসীন হননি।” তিনি আরও দাবি করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের ডিআইজি থেকে ঊর্ধ্বতন সব পদে পদোন্নতি বিষয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতেন শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলামও ট্রাইব্যুনালে মন্তব্য করেন যে, সাক্ষী মাহমুদুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন—“পুলিশে পদোন্নতি পুরোপুরি শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। তিনি যাকে পছন্দ করতেন তাকেই পদোন্নতি দিতেন, আর যাকে চাইতেন না তাকেই বঞ্চিত করতেন।”
দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য শেষে মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকাল ছিল ‘দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের উদাহরণ’। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জুলাই মাসের গণহত্যার ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সরকারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
BD/AN