আরেকটি ১/১১-এর শঙ্কা দেখছেন রাশেদ খাঁন

Published : ১৭:৩১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, যদি নতুন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয় তাহলে এতে গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার ও জড়িত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একমত হতে পারবে না বরঞ্চ বিভাজন বাড়বে এবং সেই সুযোগে দেশে “আরেকটি ১/১১” নেমে আসার আশঙ্কা তৈরি হবে।
তিনি শনিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন।
রাশেদ খাঁন নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা তিনি স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন; কিন্তু কারও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভেঙে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পক্ষে তিনি নন। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, তৎপর রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো যদি ঐক্যমত্যে না পৌঁছে বিভক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সেটাই ১/১১-এর মতো এক নতুন পরিস্থিতির ভিত্তি গড়ে দিতে পারে।
পোস্টে রাশেদ আরো বলেন, “সেই সুযোগে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এমনকি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের গ্রেফতারও ঘটতে পারে। অন্য অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনাও রয়েছে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো বিভাজিত হলে ১/১১-এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। রাশেদের ভাষ্য, তার কাছে মনে হচ্ছে কোনো বিদেশি এজেন্সি ইচ্ছাকৃতভাবেই গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তাদের সম্পর্ক ভাঙাতে কাজ করছে এবং হয়তো অনেক দল এ বিপজ্জনক চক্রান্তটি বুঝতে পারছে না।
শেষ পর্যন্ত তিনি দেশ ও জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রস্তাব দেন। রাশেদের বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মসুচি ও লক্ষ্য যদি জনগণের স্বার্থে না হয়, তবে তা জাতীয় স্বপ্ন ও উন্নয়নে বড় ধাক্কা দিয়ে দিতে পারে; বিশেষ করে যদি সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও নেতৃত্বহীনতার সৃষ্টি হয়।
BD/AN