ঢাকায় বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার শেখ হাসিনার রায়

ঢাকায় বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার শেখ হাসিনার রায় ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:৫৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় নির্ধারিত হয়েছে।

মামলার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় স্ক্রিনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরাসরি রায় সম্প্রচার করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও রায় সংক্রান্ত প্রচার করা হবে।

তিন সদস্যের বিচার panel-এর নেতৃত্বে থাকবেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে অংশ নেবেন মো. আমির হোসেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেদিনই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এই পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন, আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন একমাত্র গ্রেপ্তার।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement