উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সবসময় তাদের অবদান মনে রাখবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর হোক—এই কামনাই তিনি করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, খুব অল্প সময়ে তারা জাতির জন্য যে দায়িত্ব ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কোনো দিন বিস্মৃত হবে না।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে সম্মুখসারিতে নেতৃত্ব দেওয়া এই দুই ছাত্রনেতা পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্যের জন্য শুভকামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তারা যেভাবে দেশকে কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে মুক্ত করার পথে অবদান রেখেছেন, তা জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় তারা একইভাবে ভূমিকা রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এত অল্প সময়ে তারা জাতিকে যে উপকার ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তা ভবিষ্যতেও বড় পরিসরে কাজে লাগবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
দেশের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারে থাকার সময় তারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা তাদের আগামীর পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিকেল পাঁচটার মধ্যে দুই উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ। মাহফুজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এবং আসিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদে মোট ২৩ জন ছিলেন। তাদের মধ্য থেকে এই দুই ছাত্র প্রতিনিধি পদত্যাগ করলেন।
