আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা শেষ হওয়ার পর বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে এদের সবাই একই অভিযোগের সঙ্গে জড়িত নন। অনেকের ওপর বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ের প্রভাবও পড়েছে।
সোমবার বিবিসি বাংলার এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আপনার প্রতি সম্মান রেখে আমি এগ্রি করবো, তবে একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। প্রায় ৭ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবাই একই অভিযোগের সঙ্গে জড়িত নয়। অনেকের বিরুদ্ধে অন্য সাংগঠনিক বিষয়ের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, অভিযোগগুলো তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝান, কখনও কখনও পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনা রাজনৈতিক দখলের অভিযোগে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি-বাড়ি নিয়ে ঝগড়া। স্বৈরাচার সময় একটি ভাই স্বৈরাচারের দোসরের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকায় অন্য ভাইয়ের সম্পত্তি দখল হয়েছিল। স্বৈরাচার পলাতক হওয়ার পর, স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত ভাই তার সম্পত্তি ফেরত পেয়েছে। কিন্তু কেউ প্রচার করেছে যে বিএনপির লোকজন দখল করেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “স্বৈরাচারের সময় দেশে প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের বৈধ সম্পত্তি রক্ষা করতে পারতেন না। স্বৈরাচারের অনেকে পালিয়ে গেলে বিএনপির নেতারা তাদের সম্পত্তি ফেরত নিয়েছে। এতে কিছু লোক প্রচার করেছে যে বিএনপির লোকজন দখল করেছে। এ ধরনের ঘটনা প্রচুর হয়েছে।”
তারেক বলেন, “আমরা ঘটনার স্বীকৃতি দিচ্ছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমাদের কাজ পুলিশিং করা নয়। রাজনৈতিক দলের কাজ হল ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সত্যতা যাচাই করা।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যতটুকু তথ্য তারা পেয়েছে এবং যাচাই করেছে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের মতো দায়িত্ব দলের নয়।