“যার জন্য বেঁচে থাকা”—তাকেই আমন্ত্রণ জানালেন না সেলেনা

Published : ২১:১২, ৬ অক্টোবর ২০২৫
সদ্যই বিয়ের আসরে বসেছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও সঙ্গীত প্রযোজক বেনি ব্লাঙ্কোকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন এই জনপ্রিয় পপ তারকা, আর মাত্র নয় মাস পরেই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
সেলেনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও ভক্তদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার। তবে এই আনন্দের মাঝেও একজনের মনে কষ্টের ছোঁয়া লেগেছে—তিনি আর কেউ নন, অভিনেত্রী ফ্রান্সিয়া রাইসা, যিনি একসময় নিজের কিডনি দান করে সেলেনার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা যায়, এই বিশেষ মানুষটি নাকি সেলেনার বিয়ের নিমন্ত্রণই পাননি! খবরটি প্রকাশ পেতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয় এবং অনেকেই সেলেনাকে সমালোচনার মুখে ফেলেন।
ঘটনাটি শুরু ২০১৭ সালে, যখন লুপাসজনিত জটিলতার কারণে কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হয় সেলেনা গোমেজকে। তখন ফ্রান্সিয়া রাইসা নিজের একটি কিডনি দান করে বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব যেন হারিয়ে গেছে পুরনো উষ্ণতা।
গোমেজ ও রাইসার দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয় বিয়ের পরপরই। সেলেনার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বহু তারকা—টেইলর সুইফট, এড শিরান, এসজেডএ, ক্যামিলা কাবেলো, স্টিভ মার্টিন, মার্টিন শর্ট—তবে কোথাও রাইসার নাম দেখা যায়নি। পিপল ও ইনস্টাইলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অতিথিদের তালিকা ও ছবিও প্রকাশ করেছে, তাতেও রাইসার উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।
রাইসা বিয়ের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন, কিন্তু সেলেনা বা বিয়ের কোনো বিষয়েই কিছু পোস্ট করেননি। বরং তিনি নাচের ভিডিও শেয়ার করেছেন কোরিওগ্রাফার সাশা ফারবারের সঙ্গে, যা ইঙ্গিত দেয়—বিয়ের দিন তিনি অন্য কোথাও ছিলেন। ফলে অনেকে ধরে নিচ্ছেন, তাকে সত্যিই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেক অনুরাগী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেলেনা গোমেজের প্রতি। কেউ কেউ লিখেছেন, “যে বন্ধু নিজের অঙ্গ দান করে জীবন বাঁচিয়েছিল, তাকে ভুলে যাওয়া অকৃতজ্ঞতার পরিচয়।”
ডেইলি মেইল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলেনার বিয়ের অতিথি তালিকায় ফ্রান্সিয়া রাইসার নাম ছিল না। যদিও সেলেনা বা রাইসা—দুজনের কেউই বিষয়টি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই ঘটনা কি সত্যিই দুই বন্ধুর সম্পর্কের শেষ অধ্যায়? কেউ মনে করছেন, তাদের বন্ধুত্বের ফাটল হয়তো এখন আর জোড়া লাগবে না; আবার কেউ বলছেন, সব কিছু জানা না থাকলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয়।
বিডি/এএন