অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ও প্রতিরোধের পথ

Published : ০০:৪৪, ৭ অক্টোবর ২০২৫
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর জেলায় অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই মাসে জেলায় শতাধিক গরু এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনাও দেখা দিয়েছে, যার মধ্যে পীরগাছা উপজেলায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মিঠাপুকুরে ৬ জন সংক্রমিত হলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ এরও বেশি। রংপুরের পাশাপাশি মেহেরপুরের তিন উপজেলার মোট ৪৬৪ জনও অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
অ্যানথ্রাক্স কী এবং কীভাবে ছড়ায়?
অ্যানথ্রাক্স একটি গুরুতর সংক্রামক রোগ, যা Bacillus anthracis ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি সাধারণত গবাদিপশুর মধ্যে দেখা যায়, তবে সংক্রমিত পশু বা তাদের উৎপাদিত পণ্য (চামড়া, পশম, মাংস) থেকে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে।
মানুষ সাধারণত তিনভাবে সংক্রমিত হয়:
ত্বকের মাধ্যমে: সংক্রমিত পশুর চামড়া বা পশম স্পর্শ করলে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে: স্পোরযুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করলে।
খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে: সংক্রমিত পশুর মাংস খেলে।
উপসর্গ:
ত্বকের অ্যানথ্রাক্স: চুলকানিযুক্ত বাম্প, পরবর্তীতে ব্যথাহীন কালো আলসার, জ্বর, মাথাব্যথা।
শ্বাসনালী/ফুসফুসের অ্যানথ্রাক্স: ফ্লু সদৃশ লক্ষণ, জ্বর, কাশি, পেশী ব্যথা; গুরুতর হলে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা।
পরিপাকতন্ত্রের অ্যানথ্রাক্স: বমি, জ্বর, পেটে ব্যথা; গুরুতর হলে রক্তাক্ত ডায়রিয়া ও অন্ত্রের প্রদাহ।
প্রতিরোধ ও করণীয়:
পশুদের নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া।
সংক্রমিত বা মৃত পশুর সংস্পর্শ এড়ানো।
আক্রান্ত পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকা।
মৃত পশু মাটির গভীরে পুঁতে সৎকার করা।
মৃত পশুর সৎকারের সময় গ্লাভস ও অন্যান্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও সতর্কতা অবলম্বন করাই এই মারাত্মক রোগের সংক্রমণ রোধের প্রধান হাতিয়ার।
বিডি/এএন