দেশের ভাগ্য বদলাবে তারেকের দৃষ্টিতে: প্রিন্স

দেশের ভাগ্য বদলাবে তারেকের দৃষ্টিতে: প্রিন্স ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:২৬, ৭ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পথ অনুসরণ করে তারেক রহমান কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

শুধু কৃষি বা কৃষক নয়, শ্রমিক, নারী, যুবক, বেকার, ছাত্র, শিক্ষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণেও বিএনপি পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের দুই চোখে পরিবর্তনের আলো, তার দৃষ্টিতে দেশ ও জনগণ। পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে তিনি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রকাশ করেছেন, গণ ঐক্যের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাজির করেছেন। অন্যান্য পরিকল্পনাও পাইপলাইনে রয়েছে। তাই চলুন, তারেক রহমানের হাত ধরেই এগিয়ে যাই সমৃদ্ধির পথে।”

সোমবার (৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গামারিতলা ইউনিয়নে পৃথক ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, “আগামীতে বিএনপি সরকার প্রতিটি পরিবারের মা বা গৃহিণীর নামে ‘ফ্যামিলি কার্ডে’র মাধ্যমে সেই পরিবারের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি অংশ বিনামূল্যে প্রদান করবে। শিক্ষিত বেকারদের এক বছরের বেকার ভাতা দেবে। প্রান্তিক কৃষককে দুটি ফসলের মধ্যে একটি ফসলের উৎপাদন খরচ দেবে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করবে। সরকার গঠনের প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “চির অবহেলিত ধোবাউড়ার উন্নয়নে বিএনপির আগামী সরকার সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। আমাদের লক্ষ্য একটি আলোকিত ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট গড়ে তোলা, যেখানে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, বেকার সমস্যা সমাধান এবং ঘরে ঘরে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। বিগত দিনে ধোবাউড়ার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি।

ইনশাআল্লাহ, ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট আসনে ধানের শীষ বিজয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে উন্নয়নের সার্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ধোবাউড়া সদরকে পৌরসভা ঘোষণা, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন স্থাপনার উন্নয়ন, পানীয় জলের সমস্যা সমাধান এবং ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী গারো ও হাজং সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কৃতি ও ধর্ম-কর্ম পালনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।”

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement