তালাকের পর মুখ খুললেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার

তালাকের পর মুখ খুললেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:২১, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহার—এই দুইজনের বহুল আলোচিত পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে অবশেষে।

ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শরিয়াহসম্মতভাবে বিষয়টির মীমাংসা সম্পন্ন হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন উভয় পক্ষ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজেদের ফেসবুক পেজ ও প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে তারা জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের সমাপ্তি ঘটেছে ‘খুলা তালাক’-এর মাধ্যমে।

আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের অফিসিয়াল পেজ থেকে জানানো হয়—
১️. ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রীকে খুলা তালাকের প্রস্তাব দেন, যা সাবিকুন নাহার গ্রহণ করেছেন। ফলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।

২️. বিয়ের মোহরানা ইতিমধ্যেই পরিশোধিত, তাই এ বিষয়ে কোনো দেনা-পাওনা বাকি নেই।

৩️. সাবিকুন নাহার পূর্বে ইসলামিক সেন্টারের উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় আট ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ ধার হিসেবে দিয়েছিলেন বলে জানান। এই অর্থ ফেরতের জন্য ওলামায়ে কেরাম সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, এবং উভয় পক্ষ তাতে সম্মত হয়েছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “৮ ভরি স্বর্ণের বিনিময়ে তালাক” সংক্রান্ত যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

আবু ত্বহা বলেন, “ওলামায়ে মাজলিসের পরামর্শক্রমে সব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। তাই অনুরোধ করছি—কেউ যেন আর এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা না করেন।”

অন্যদিকে সাবিকুন নাহার তার স্ট্যাটাসে লেখেন—

“আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পারিবারিক বিষয়টির সুন্দর ও শরিয়াহসম্মত সমাধান হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ এক জটিল পরিস্থিতির পর আল্লাহর রহমতে বিষয়টির মীমাংসা সম্ভব হয়েছে। এ সময় আমার দ্বারা কোনো ভুল বা গুনাহ হয়ে থাকলে আমি আল্লাহর দরবারে প্রকাশ্যে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

সাবিকুন নাহার সবাইকে আহ্বান জানান, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা বা বিতর্কে অংশ না নিতে, বরং বিষয়টি এখানেই শেষ বলে মেনে নিতে।

শেষে তিনি গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন,

“আল্লাহর ওয়াস্তে অনুরোধ করছি—আমার পারিবারিক আলোচনাসংবলিত সব অডিও ও ভিডিও ক্লিপ ডিলিট করে দিন। যারা এ সময়ে আমাকে ভালোবেসে পাশে থেকেছেন, তাদের জন্য দোয়া রইল; আর যারা কটূক্তি করেছেন, আল্লাহ তাদেরও ক্ষমা করুন।”

এক কথায়, আলোচিত এই দম্পতির মধ্যে ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে শরিয়াহভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে সব পারিবারিক জটিলতার অবসান ঘটেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement