কিয়ামতের দিন পাঁচ প্রশ্নের জবাব না দিলে রক্ষা নেই

কিয়ামতের দিন পাঁচ প্রশ্নের জবাব না দিলে রক্ষা নেই ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:২৫, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

কিয়ামতের ভয়াবহ দিনটি হবে এমন এক দিন, যখন কেউ আর কারও হবে না। সবাই তখন শুধু নিজের কথা ভাববে, ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’। এমনকি সেই কঠিন মুহূর্তে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান বা প্রিয়জন কেউই একে অপরের খোঁজ নেবে না।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের সেই দিন সম্পর্কে বলেছেন,
‘সেদিন মানুষ পালাবে তার ভাই থেকে, তার মা ও তার বাবার কাছ থেকে, তার স্ত্রী ও তার সন্তানদের থেকেও। সেদিন প্রত্যেকেই থাকবে নিজের চিন্তায় মগ্ন। কিছু মুখমণ্ডল সেদিন উজ্জ্বল হবে, হাস্যোজ্জ্বল ও আনন্দিত। আর কিছু মুখ হবে বিষণ্ণ, মলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’
- সুরা আবাসা, আয়াত: ৩৪-৪০

সেই দিনের বিচার নির্ভর করবে একমাত্র মানুষের আমলের ওপর—তার কর্মই নির্ধারণ করবে চিরস্থায়ী গন্তব্য জান্নাত না জাহান্নাম। এমনকি মানুষের নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গও সাক্ষ্য দেবে তার কর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে। মহান আল্লাহ বলেন,
‘যেদিন তাদের জিহ্বা, হাত ও পা তারা যা করত, সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। সেদিন আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন, আর তারা বুঝবে যে আল্লাহই সুস্পষ্ট সত্য।’
- সুরা নূর, আয়াত: ২৪-২৫

অতএব, পরকালে সফলতা অর্জনের জন্য এই দুনিয়ার স্বল্প জীবনে আল্লাহর আদেশ পালন ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দেখানো পথ অনুসরণ করা অপরিহার্য। তাহলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইবনু মাসউদ (রা.)-এর বর্ণিত এক হাদিসে বলেছেন,
‘কিয়ামতের দিনে মানুষকে পাঁচটি বিষয়ের হিসাব দিতে হবে। যতক্ষণ না সে এর জবাব দেয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর সামনে থেকে সরে দাঁড়াতে পারবে না।’

প্রশ্নগুলো হলো-
১️. জীবনের সময় কীভাবে অতিবাহিত করেছে।
২️. যৌবনকাল কোন কাজে ব্যয় করেছে।
৩️. সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছে।
৪️. অর্জিত সম্পদ কোথায় ব্যয় করেছে।
৫️. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটা আমল করেছে।
- সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ২৪১৬

অতএব, আজকের জীবনই নির্ধারণ করবে আগামীর চিরস্থায়ী পরিণতি। এখনই সময় নিজের আমলকে পরিশুদ্ধ করার এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ফিরে আসার।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement