তিস্তার চরে বেড়েছে বাদামের চাষ

Published : ১৫:৩২, ১০ মে ২০২৫
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরে বাদাম চাষে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। লাভজনক ফসল হওয়ায় এখানকার কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকেছেন। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে বাদামের চাষ। স্বল্প খরচে বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রাহী হচ্ছে তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৮৭০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১৮৭১ টন।
প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে প্রায় ৫ কোটি টাকার বাদাম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। চরে বেশির ভাগ জমিতে বিনা-৪, বারি-৬, বারি-৮ ও বারি-৯ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে।
তিস্তার চরজুড়ে দেখা যায় শুধু বাদাম ক্ষেত। যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই বাদামের সবুজ ক্ষেত। বাদামের সবুজ পাতা হলুদ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কৃষকরা। বাদাম গাছের পাতা হলুদ হলেই বাদাম তোলার উপযোগী হয়। তখন কৃষক ও কৃষাণীদের দম ফেলার ফুসরত থাকবে না। কিন্তু খরস্রোতা তিস্তার পানি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে কৃষকরা। কোন কারণে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
চরগনাই গ্রামের বাদাম চাষি দুদু মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে ২২ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। বর্তমানে বাদামের অবস্থা ভাল আছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে বা¤পার ফলন হবে। তবে ভয়ে আছি নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে। পানি বাড়লে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
বাদাম চাষি আল আমিন বলেন, এবারের ন্যায় প্রতি বছর যদি কৃষি বিভাগ ভালোমানের বীজের ব্যবস্থা করে তবে কাউনিয়ায় বাদামের চাষ আরও বাড়বে।
উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, চরের মানুষ ব্যাপক হারে বাদাম চাষ করেছে। চাষিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হলে তারা বাদাম চাষে আরও আগ্রহী হবে।
পজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আকতার বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। গত বছর বাদামের ভাল দাম পাওয়ায় এবার কৃষকরা বেশি করে বাদাম চাষ করেছে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের বিনামূল্যে বীজ ও পরামর্শে দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
বিডি/ও