Startmeup.hk–এ ফাইনালিস্ট উইগ্রো: কৃষি–উদ্ভাবনে বৈশ্বিক স্বীকৃতি

Startmeup.hk–এ ফাইনালিস্ট উইগ্রো: কৃষি–উদ্ভাবনে বৈশ্বিক স্বীকৃতি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৪৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের কৃষিকে প্রযুক্তির সহায়তায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করা এগ্রি–ফিনটেক স্টার্টআপ উইগ্রো আবারও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

হংকং সরকার আয়োজিত Startmeup.hk Global Startup Competition 2025 - এ ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বের শতাধিক দেশের উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্য থেকে উত্তীর্ণ হয়ে উইগ্রো’র এই অর্জনকে বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও কৃষি–উদ্ভাবন খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Startmeup.hk প্রতিযোগিতায় স্টার্টআপগুলোকে চারটি সূচকে মূল্যায়ন করা হয়—উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তিগত সামর্থ্য, ব্যবসায়ীক সম্ভাবনা এবং সামাজিক প্রভাব।

এ চারটি ক্ষেত্রেই উইগ্রোর পারফরম্যান্স বিচারকদের নজর কেড়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় কৃষি বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এমন প্রযুক্তিভিত্তিক মডেলই আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে আরও দৃশ্যমান করে তুলছে।

এর আগে Singapore FinTech Festival 2024–এ ১৩০টিরও বেশি দেশের স্টার্টআপকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় উইগ্রো। বিশ্বের বৃহত্তম ফিনটেক মঞ্চগুলোর একটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম স্থান অর্জন প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।

উইগ্রো ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য বিনিয়োগ, মানসম্মত কৃষি উপকরণ, উৎপাদন সহায়তা ও বাজারসংযোগ—এই চারটি ধাপকে প্রযুক্তির মাধ্যমে এক প্ল্যাটফর্মে এনে কাজ করে। তাদের লক্ষ্য কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে, লাভজনকতা বাড়িয়ে এবং বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা।

উইগ্রোর সিইও ও কো–ফাউন্ডার মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি শুধু খাদ্য উৎপাদনের খাত নয়; এটি দেশের সামাজিক–অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূলভিত্তি। আমরা চাই, কৃষকের উদ্ভাবন ও সম্ভাবনা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিগুলো প্রমাণ করে—বাংলাদেশের কৃষি–প্রযুক্তি এখন বৈশ্বিক স্তরেও প্রতিযোগিতায় সক্ষম।”

শিল্পবিশেষজ্ঞদের মতে, এমন স্বীকৃতি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নয়; এটি দেশের উদীয়মান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং কৃষি–উদ্ভাবনের প্রতি বৈশ্বিক আস্থার বহিঃপ্রকাশ।

উইগ্রোর ভাষায়, বাংলাদেশের কৃষকের গল্প বিশ্বে তুলে ধরা মানে শুধু সাফল্য উদযাপন নয়—বরং দেশের কৃষি খাতের সম্ভাবনা, স্থিতিস্থাপকতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়ার এক বাস্তব প্রমাণ।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement