রংপুরে রাস্তার দু’ধারে তিল চাষ হচ্ছে

রংপুরে রাস্তার দু’ধারে তিল চাষ হচ্ছে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৪৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বসতভিটা কিংবা পতিত জমিতে নয়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রাস্তার দুই ধারে তৈল জাতীয় ফসল তিল চাষের প্রবণতা বাড়ছে। রাস্তার দুই পাশে তিল চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকসহ এলাকার বেকার যুবকেরা।

২/৩ বছর আগেও মাত্র ১ থেকে ২টি রাস্তার সামান্য জায়গায় তিল চাষ চোখে পড়লেও এখন উপজেলার বেশিরভাগ রাস্তার ধারে তিল চাষ হচ্ছে। তিলচাষি আকবর আলী বলেন, রাস্তার ধারের জমিতে চাষাবাদকৃত ফসল গরু-ছাগল খেয়ে নষ্ট করতো।

রাস্তার ধারে বেড়া বা ঘেরাও না দিয়ে দু’বছর থেকে আমার জমির সাথে রাস্তার ধারে তিল চাষ করছি। তিল চাষ করে দু’দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছি। রাস্তার ধারে আরও বেশী করে তিল চাষ করার ইচ্ছে আছে বলেও জানান তিনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে পীরগঞ্জে রাস্তার ধারে তিল চাষ বেড়েছে।

পীরগঞ্জ খালাশপীর রাস্তার বাহাদুরপুর থেকে বাবনপুর পর্যন্ত খন্ড খন্ড তিল চাষ, খালাশপীর-মদনখালী, খালাশপীর-ভেন্ডাবাড়ী, খালাশপীর-চতরা, খালশপীর-টুকুরিয়া, লালদীঘি-কুমেদপুর, কুমেদপুর-খয়েরবাড়ী রাস্তয় তিল চাষের দৃশ্য নজর কাড়ে পথচারীদের। এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ তিলের বৈজ্ঞানিক নাম ‘সেছামাম ইন্ডিকাম’। এটি বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। তিলের বীজ থেকে তেল তৈরি হয়।

বাংলাদেশ, চীন, আমেরিকা জাপানসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তিল গাছ জন্মায়। তিলের গাছ ৬ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীর মধ্যে তিল ভারতে সবচেয়ে বেশী হয়। বছরে দুবার অর্থাৎ কার্তিক ও ফালগুন মাসে তিলের চাষ হয়ে থাকে। কম খরচে খুব সহজেই যেকোন পরিত্যক্ত জমিতে তিলের চাষ করা যায়। তিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান তৈলবীজ ফসল।

তেলের জন্যই প্রধানত তিলের চাষ হয়। পাতার গোড়ায় সাদা বা হালকা নীল/ গোলাপি ফুল হয়। একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঁচা তিল খেলে হাড় শক্তিশালী হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য কওে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার।

পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, রাস্তর ধারে পতিত জমিতে তিল চাষ প্রশংসার দাবিদার। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাসংলগ্ন গ্রামের বেকার যুবকরা দলবদ্ধ হয়ে গ্রুপভিত্তিক তিল চাষ করলে বছরে দু’বার বাড়তি আয় করতে পারে। কৃষি বিভাগ দলবদ্ধভাবে তিল চাষে প্রযুক্তি ও উপকরণ সহায়তা দেবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement