ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা গ্রেফতার -৫ জন

Published : ১৮:৪০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছেলে বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্যালোমেমিন চুরির অভিযোগের প্রতিবাদ করায় কার্তিক চন্দ্র নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের নারায়ানপুর কুয়াভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কার্তিক চন্দ্র (৫১) ওই উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের মৃত খনা রায়ের ছেলে।
পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় এক কৃষকের একটি শ্যালোমেশিন কিখচুদিন পূর্বে চুরি হয় এবং সেটি উদ্ধারও হয়।ওই বিষয়ে এলাকায় বিচার শালিস বসার কথা ছিল মঙ্গলবার ।কিন্তু শালিসের পূর্বে স্থানীয় প্রভাবশালী কাশিনাথ বর্মন পরের দিনের বিচারের বিষয়টি আগেই আপোষ রফা করা চেষ্টা চালায়।এজন্য মৃত গরু ব্যবসায়ী কার্তিক চন্দ্র বর্মনকে মোবাইল ফেনে ডেকে নেয় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি।সেখানে কার্তিক চন্দ্রের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মনকে শ্যালোমেশিন চুরির জন্য অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির পক্ষের লোকজন।কিন্তু মৃত কার্তিক চন্দ্র তার প্রতিবাদ জানােলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ।এক পর্যায়ে হরিকিশোর,ডালিম সহ ১২/১৩ জন ব্যক্তি কার্তিককে এলোপাথারী মারপিট করে।এক পর্যায়ে তাকে ধারালো হাসুয়া দা দিয়ে এলাপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে।রক্তাক্ত অবস্থায় কার্তিক চন্দ্র বর্মনকে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেণ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে কার্তিক চন্দ্রের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে রানীশংকৈল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত অনন্ত কুমার রায়ের দুই ছেলে তপন চন্দ্র (৪০), ডালিম চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের নবদেব কুমার বর্মনের ছেলে রতন চন্দ্র বর্মন (২৩), প্রয়াত হেমন্তের ছেলে নবদেব কুমার বর্মন (৪৮) ও একই গ্রামের হিরা।
কার্তিক রায়ের মেয়ে ললিতা রায় বলেন, বাবাকে মোবাইলে ডেকে নেয় শ্যা্লোমেশিন চুরির সাথে জড়িতদের পক্ষের লোকজন। এ সময় তারা আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্য চুরির অভিযোগ তুললে বাবা প্রতিবাদ করায় তারা সকলে আমার বাবাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাসি চাই।
মামলার বাদী কপিল চন্দ্র বর্মন বলেন, বাবা ছিলেন সৎ ও রাগী মানুষ। পরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
BD/AN