কবে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধান্ত আজ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হতে পারে।

রোববার (২৮ জুলাই) এ নিয়ে বৈঠক করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গতকাল বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিদ্যালয় কবে খুলে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রোববার মিটিং হবে। মিটিংয়ে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

এর আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। 

সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এর আগে রাত ১০টা ২০ মিনিটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল। 

২৪ জুলাই সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।