পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ

Published : ০০:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকস্থলীর ক্যানসারের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগের লক্ষণগুলো সাধারণত স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে না, অনেক সময় এগুলোকে গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সাধারণ সমস্যার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়।
অথচ যেসব উপসর্গকে আমরা সামান্য অস্বস্তি ভেবে এড়িয়ে যাই, সেগুলোই হতে পারে পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কবার্তা। মূল সমস্যাটি হলো— রোগের শুরুর দিককার উপসর্গগুলো খুব সূক্ষ্ম থাকে, ফলে আলাদা করে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। জেনে নিন পাকস্থলীর ক্যানসারের এমন পাঁচটি উপসর্গ, যেগুলো প্রায়ই চোখ এড়িয়ে যায়—
হালকা খাবারের পরেই ভারী লাগা
সাধারণত বেশি খাওয়ার পর পেট ভারী লাগে। কিন্তু অল্প খাবার খেলেও যদি নিয়মিত এমনটা হয়, তবে এটি সতর্ক সংকেত হতে পারে। পাকস্থলীর ভেতরে টিউমার জায়গা দখল করতে শুরু করলে এর ধারণক্ষমতা কমে যায়। ফলে খাবার গ্রহণ কমে আসে এবং ওজন দ্রুত কমতে থাকে— যা সাধারণ অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রে সচরাচর দেখা যায় না।
ব্যথার অস্বাভাবিক ছড়িয়ে পড়া
বুকজ্বলার সময় সাধারণত বুকে বা পেটের উপরের দিকে জ্বালাভাব হয়। কিন্তু পাকস্থলীর ক্যানসারে ব্যথা ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। এটি পিঠে ছড়িয়ে যেতে পারে অথবা তীব্র জ্বালার বদলে নিস্তেজ ও টানা ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। অনেকেই একে গ্যাস্ট্রাইটিস ভেবে উপেক্ষা করেন।
অস্বাভাবিক ঢেকুর
খাওয়ার পর ঢেকুর ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন ঢেকুর অস্বাভাবিকভাবে ঘন ঘন হয় এবং এর সঙ্গে টক স্বাদ, ধাতব গন্ধ বা বমি ভাব যুক্ত হয়, তখন এটি গ্যাসের বাইরেও গুরুতর কিছু ইঙ্গিত করতে পারে। টিউমার হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে এমন অস্বস্তিকর ঢেকুর হতে পারে।
বারবার বমি বমি ভাব
অনেকে ভেবে নেন এটি সাধারণ বদহজম। কিন্তু তৈলাক্ত খাবার না খেলেও যদি ঘন ঘন বমি বমি ভাব হয়, তবে এটি পাকস্থলীর আস্তরণে গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ক্ষুধামান্দ্যের সঙ্গে এই উপসর্গ দেখা দিলে তা ক্যানসারের দিকে ইঙ্গিত করে।
মলের রঙ ও প্রকৃতির পরিবর্তন
পাকস্থলীর ক্যানসারে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে, যার ফলে মল গাঢ় বা আলকাতরার মতো কালচে রঙের হয়। অনেক সময় পরিবর্তন সূক্ষ্ম হয়— মল সামান্য আঠালো বা অস্বাভাবিক গন্ধযুক্ত হতে পারে। এগুলোকে কখনোই সাধারণ অম্বলের উপসর্গ ভেবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। এমন পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
BD/AN