এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২১ জনের প্রাণহানি

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২১ জনের প্রাণহানি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:২১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব শুধু নগরেই সীমাবদ্ধ নেই, তা এখন ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জেও। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে গ্রহণ করতে পারেনি।

এর ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনাও। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ, দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহের (শনিবার থেকে শুক্রবার) মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন রোগী।

গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়—২০ সেপ্টেম্বর কেউ মারা যাননি, তবে ৩৮২ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ২১ সেপ্টেম্বর প্রাণ হারান ১২ জন, ভর্তি হন ৭৪০ জন। ২২ সেপ্টেম্বর মারা যান ২ জন, নতুন রোগী ৬৭৮ জন। ২৩ সেপ্টেম্বর ১ জনের মৃত্যু হয় এবং ভর্তি হন ৬৬৪ জন। ২৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ জন এবং ভর্তি রোগী ৬৬৮ জন। ২৫ সেপ্টেম্বর মারা যান ১ জন, ভর্তি হন ৬৩২ জন। আর ২৬ সেপ্টেম্বর যদিও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তবে ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন।

এ বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৯২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭৮ জন। তবে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৮ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়, সারা বছরই তা হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রকোপ বাড়ে। প্রতিরোধে মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ ব্যবহার, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারণা এবং জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

কীটতত্ত্ববিদ ডা. মনজুর চৌধুরীর মতে, শুধু জরিমানা আর প্রচারণা দিয়েই সমাধান হবে না। কার্যকর জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু বছর। সে বছর মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, আর মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement