কী হয়েছিল পাকিস্তানি ডিক্টেটর জিয়া-উল-হকের উড়োজাহাজে

কী হয়েছিল পাকিস্তানি ডিক্টেটর জিয়া-উল-হকের উড়োজাহাজে

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৩১, ১৭ আগস্ট ২০২৫

১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট, পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক ও রাষ্ট্রপতি জিয়া-উল-হাক একটি Lockheed C-130B হেরকিউলেস হেলিকপ্টার (Pak-1) থেকে বাহাওয়ালপুর থেকে ওড়ার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হন। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যায়, এবং ঘটনাস্থলে বিস্ফোরিত হয়—নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়া ও তার সঙ্গে উপস্থিত শতাধিক উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। কেউই বেঁচে ফিরতে পারেননি।

প্রাথমিক তদন্তে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি চিহ্নিত করা যায়নি, ফলে তদন্তকারী বোর্ড সমস্যাটিকে “আপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা নাশকতা” বলে উল্লেখ করেন। বিশেষভাবে সম্ভাব্য কারসাজি হিসেবে বিমানে বিষক্রিয়াশীল গ্যাস প্রয়োগের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা হয়—যাতে পাইলট ও ক্রু অচেতন হয়ে যান এবং জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ পাননি।

তদন্ত প্রতিবেদনে উচ্চ মাত্রায় PETN (Pentaerythritol Tetranitrate) বিস্ফোরকসহ অ্যান্টিমনী, ফসফরাস, সালফার এর উপস্থিতি পাওয়া যায়—যা নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যবহৃত সাধারণ উপকরণ নয়। এটি স্পষ্ট করে যে, ঘটনা পরিকল্পিত ছিল ও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথাটা ধরা পড়েনি।

এরপর থেকে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব গড়ে ওঠে—যেমন বিমান ককপিটে নার্ভ গ্যাস স্প্রে করা, অনুসন্ধান আড়ালে রাখতে তদন্ত প্রতিবেদন গোপন করা, এবং যাদের নির্দেশে বা প্রস্তুতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেসব ষড়যন্ত্রমূলক কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। জিয়ার পুত্র, ইজাজুল হক, এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যে—নির্দেশনায় জড়িত ছিলেন জেনারেল মির্জা আসলাম বেগ ও জেনারেল মাহমুদ আলী দুররানি, এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার অংশগ্রহণও ঘটেছিল।

এফবিআই সমন্বিত প্রতিবেদনেও দুর্ঘটনাটির প্রকৃত কারণ “নির্ধারণ করা অসম্ভব” দাবি করা হয়। ফলে আজও এটি একটি রহস্যময় ঘটনারূপে থেকে গেছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement