কিভাবে ২০২৬ সালে আর্থিকভাবে সফল হবেন

কিভাবে ২০২৬ সালে আর্থিকভাবে সফল হবেন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:০৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

২০২৬ সালে ব্যক্তিগত আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করতে কেবল আয় বৃদ্ধি করলেই হবে না; একই সঙ্গে প্রয়োজন সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল।

নতুন বছরের শুরুতেই যদি সঠিক আর্থিক রূপরেখা তৈরি করা যায়, তবে পুরো বছর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৬ সালে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের ওঠানামা মোকাবিলা করতে বিনিয়োগ ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা জরুরি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক আঞ্চলিক প্রধান ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ফকির আকতারুল আলম মনে করেন, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য প্রথমেই একটি নিখুঁত আয়-ব্যয়ের খাতা তৈরি করা প্রয়োজন। এতে মাসিক খরচ ট্র্যাক করা সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বা সাবস্ক্রিপশন ফি-র মতো যেসব খাতে অর্থ ‘লিক’ হচ্ছে, তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জরুরি তহবিল বা ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করা সময়ের দাবি। অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের জীবনযাত্রার খরচের সমপরিমাণ অর্থ লিকুইড বা নগদ হিসেবে রাখা উচিত, যাতে চাকরি হারানো বা হঠাৎ কোনো বড় বিপদে হাত পাততে না হয়। এর পাশাপাশি ঋণের বোঝা কমানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণের উচ্চ সুদ অনেক সময় সঞ্চয়কে গ্রাস করে ফেলে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ঋণের হার ঊর্ধ্বমুখী, তাই দ্রুত এসব ঋণ শোধের উদ্যোগ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য যেমন—বাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা বা অবসরের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা এবং স্থায়ী আমানত বা সঞ্চয়পত্রে নিয়মিত বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এনবিআর অনুমোদিত বিনিয়োগে কর ছাড়ের পাশাপাশি দ্বিগুণ মুনাফার সুযোগও রয়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে মাসিক বাজেটে অন্তত ৮–১০ শতাংশ অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা ভালো, যাতে ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলেও জীবনযাত্রার মান ব্যাহত না হয়। হঠাৎ আসা চিকিৎসার বিশাল খরচ সামলাতে স্বাস্থ্য ও জীবনবীমা করানোও জরুরি, যা মূল সঞ্চয়কে সুরক্ষিত রাখবে।

অধুনিক ডিজিটাল টুলস যেমন—ব্যাংক অ্যাপ, বিকাশ, নগদ বা ইউনেট ব্যবহার করে নিয়মিত বিল পরিশোধ ও খরচ পর্যবেক্ষণ করলে সময় বাঁচে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে। পাশাপাশি প্রতি মাসে অন্তত একদিন নিজের আর্থিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা রিভিউ করার অভ্যাস রাখা উচিত। বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিকল্পনা সংস্কার করলেই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বচ্ছল ও সুরক্ষিতভাবে জীবন চালানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন ফকির আকতারুল আলম।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement