শীতকালে তেলেভাজা ও মিষ্টি খাবারের প্রতি মানুষের প্রবণতা বেড়ে যায়। এর ফলে অল্প বয়স থেকেই অনেকের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
চিকিৎসকেরা বারবার জোর দিয়ে বলেন, ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন ঠিক রাখাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি। কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এজন্য সুষম আহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষভাবে উপকারী খাবারগুলো হলো—
আমলকি: ভিটামিন সি, খনিজ ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আমলকি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সহায়ক। এছাড়া এটি করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
গ্রিন টি: পলিফেনলের উৎকৃষ্ট উৎস গ্রিন টি এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল: ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই ফলগুলো শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। প্রদাহ কমায় এবং ধমনিতে প্ল্যাক জমার ঝুঁকি হ্রাস করে।
পালংশাক: নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর পালংশাক সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা ক্যারোটিনয়েড শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আখরোট: পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ আখরোট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। নিয়মিত আখরোট খেলে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং হার্ট সুস্থ থাকে।
এইভাবে খাদ্যাভ্যাসে সুষমতা এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করলে শীতকালেও কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।

































