স্বাস্থ্যের জন্য বেদানা যে কতটা উপকারী, তা কমবেশি সবারই জানা। নিয়মিত বেদানা খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে, সহজেই রক্তাল্পতা এড়ানো যায় এবং ত্বকের নানা সমস্যাও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে শুধু বেদানার দানা নয়, এর খোসাও গুণে কোনো অংশে কম নয়।
ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে বেদানার খোসা দারুণ কার্যকর। বেদানার খোসা দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব।
বিশেষ করে শীতকালে ত্বক বেশি শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এই সময়েই ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। অল্প বয়সে বার্ধক্যের ছাপ কমাতে বেদানার খোসা ব্যবহার বেশ উপকারী। বেদানার খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় রাখে। ফলে ত্বক থাকে টানটান ও প্রাণবন্ত।
বেদানার খোসা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবেও কাজ করে। এটি ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করে, যার ফলে ত্বক আরও মসৃণ ও সতেজ দেখায়। শীতের সময়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে বেদানার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে কোলাজেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলিরেখা, দাগছোপ কিংবা ব্রণ কমাতে কোলাজেনের প্রয়োজন হয়। বেদানার খোসায় এমন উপাদান রয়েছে, যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ত্বকজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথমে বেদানার খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর খোসাগুলো ২–৩ দিন রোদে শুকিয়ে নিন। চাইলে মাইক্রোওভেনেও শুকানো যেতে পারে। শুকিয়ে গেলে মিক্সারে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়ো একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহারের সময় এই ঘরে তৈরি স্ক্রাব দুধ বা গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে ২–৩ বার বেদানার খোসার এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ত্বকের জেল্লা ও সতেজতা স্পষ্টভাবে বাড়বে।
সূত্র : এই সময়

































