ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করেছেন যে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন না এবং নিজে কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রাখেন না। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরের সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বার্নামাকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “না, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে, আমি সেই লোক নই।”
ড. ইউনূস আরও জানান, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াকে নিজের মূল লক্ষ্য মনে করছেন। গত এক বছরে সরকারের অধীনে অনেক অর্জন হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঐকমত্য কমিশন গঠন। এই কমিশন ১১টি সংস্কার কমিশনের ভিত্তিতে গঠিত এবং এ মাসের শেষের দিকে তার নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেদনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি আদায়ের দায়িত্বও পালন করছে। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বিষয়ে একটি ঐকমত্য থাকা অপরিহার্য। সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট হবে নাকি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট হবে—এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।”
ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, দেশের পরিস্থিতি সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এবারের নির্বাচন পূর্ববর্তী তিনটি ‘মিথ্যা’ নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়া লাখ লাখ ভোটারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
ড. ইউনূসের মতে, তার দায়িত্ব শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, বরং জনগণের বিশ্বাসযোগ্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেছেন, “আমরা অনেক পথ অতিক্রম করেছি এবং নির্বাচনের জন্য দেশের জনগণ প্রস্তুত।”