জামায়াতে ইসলামের নতুন আমীর নির্বাচনের প্রস্তুতি

Published : ১১:৫২, ৩ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ডিসেম্বর মাসে জামায়াতে ইসলামী নতুন আমীর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে। এই নির্বাচনে দেশজুড়ে থাকা এক লক্ষেরও বেশি রুকন সদস্য গোপন ভোট ও সরাসরি ভোটের মাধ্যমে দলের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির মাঠে অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে এবং বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী একটি দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলটি রাজপথেও সক্রিয়, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে।
একই সঙ্গে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করা ও ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরে দলটির সর্বোচ্চ নেতার পদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রকাশ পাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ হলো ‘আমীর’। গঠনতন্ত্র অনুসারে, দেশজুড়ে থাকা রুকন সদস্যদের ভোটে তিন বছরের জন্য একজন আমীর নির্বাচিত হন। নির্বাচিত আমীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি ও অন্যান্য নির্বাহী দায়িত্বশীল পদে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করেন।
বর্তমান আমীর ডা. শফিকুর রহমান, যিনি প্রথমবার ২০১৯ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়বার ২০২২ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত হয়েছেন।
গঠনতন্ত্রে তিন বছরের মধ্যে আমীর নির্বাচন বাধ্যতামূলক হলেও, একজন ব্যক্তি কতবার আমীর হতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা প্রথমে তিনজনের একটি প্যানেল তৈরি করেন।
সাধারণত, এই প্যানেল থেকে রুকন সদস্যরা গোপন ভোটের মাধ্যমে একজনকে আমীর নির্বাচিত করেন, তবে ভোটাররা চাইলে প্যানেলের বাইরে থাকা যেকোনো প্রার্থীকেও ভোট দিতে পারেন।
বিডি/এএন