ইসলামের প্রথম জুমার জামাতে একশত মুসল্লির উপস্থিতি

ইসলামের প্রথম জুমার জামাতে একশত মুসল্লির উপস্থিতি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:০১, ৩ অক্টোবর ২০২৫

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ, ফজিলতপূর্ণ ও পবিত্র দিন হলো জুমা। আল্লাহতায়ালা এ দিনটিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং এটিকে সূর্যোদিত দিনগুলোর মধ্যে সর্বাধিক বরকতময় ঘোষণা দিয়েছেন।

এ দিনকে ঘিরে মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ আমল ও করণীয়, যা পালন করলে পাওয়া যায় অপরিসীম সওয়াব ও আখিরাতে সফলতার অঙ্গীকার।

প্রথম হিজরির পর থেকে জুমার নামাজ ফরজ হয়। প্রিয় নবী (সা.) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনার কুবায় অবস্থান করছিলেন, তখন এক জুমার দিনে বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের সময় হলে তিনি সেখানে প্রথমবারের মতো জুমা আদায় করেন। এটিই ইসলামের ইতিহাসে প্রথম জুমার নামাজ।

সেই জামাতে মুসল্লির সংখ্যা একশ জন ছিল বলে বেশিরভাগ ইতিহাসে উল্লেখ আছে, যদিও কিছু সূত্রে চল্লিশ জনের কথাও বর্ণিত হয়েছে (বোখারি ১ম খণ্ড: পৃ. ৪৫৫-৫৬০, ইবনে হিশাম ১ম খণ্ড: পৃ. ৪৯৪)।

উল্লেখযোগ্য যে, হিজরতের পর জুমা ফরজ হওয়ার পূর্বেই নবুয়তের দ্বাদশ বর্ষে মদিনার নাকিউল খাজিমাতে একবার ২ রাকাআত জুমা আদায় হয়েছিল। সেখানে হজরত আসআদ বিন জুরারাহ (রা.) ইমামতি করেন, তবে তা ছিল নফল নামাজ।

মুহাম্মদ ইবনে সিরীনের বর্ণনায় জানা যায়, রাসুল (সা.)-এর আগমন ও জুমা ফরজ হওয়ার আগে মদিনার আনসাররা পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করেছিলেন। তারা বলেন, ইয়াহুদিদের একটি নির্দিষ্ট দিন আছে (শনিবার), যেদিন তারা সবাই মিলিত হয়; নাসারাদেরও আছে একটি নির্দিষ্ট দিন (রবিবার)।

তাই মুসলমানদেরও সপ্তাহের একটি দিন নির্ধারণ করা উচিত, যেদিন সবাই একত্রিত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে ও ইবাদত করবে। আলোচনার পর তারা শুক্রবারকে বেছে নেয় এবং নাম দেয় “ইয়াওমুল জুমআ” বা সমাবেশের দিন। (সূত্র: দরসে তিরমিজি ২/১৯২, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৩/১৫৯, হাদিস: ৫১৪৪)।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement