রংপুরে আরও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত

রংপুরে আরও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত ছবি: বিজনেস ডেইলি

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:০৭, ৩ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে আরও দু’জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হওয়া দুইজনের বাড়ী কাউনিয়া উপজেলায়।

এ নিয়ে জেলায় ১১জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা এতথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে পীরগাছা উপজেলায় ৮ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছিল। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।একই সময়ে অ্যানথ্রাক্স রোগে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অর্ধশত ব্যক্তি আক্রান্ত হন।

পরে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছা সদর এবং পারুল ইউনিয়নের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ থাকা ১২ নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে ৮ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করা হয়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ গরুর মাংসের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছিল প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে কৃষক ইব্রাহিম মিয়ার একটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সেটি জবাই করা হলে আশপাশের লোকজন মাংস কাটাকাটি করেন।

ঘটনার দুই দিন পর সোহরাব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মনির হোসেন ও মজিবর রহমানসহ কয়েকজন চর্মরোগে আক্রান্ত হন। তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।

মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) এমএ হালিম লাবলু বলেন, ইমাদপুরে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তারা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছে। রোগী যাতে সামাজিকভাবে কোনো পরিস্থিতির মধ্যে না পড়ে, সেজন্য তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
 

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement