শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থী নির্ধারণ করবে বিএনপি

Published : ২১:১৮, ৩ অক্টোবর ২০২৫
সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।
তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন আসবে তফসিল ঘোষণার পর, পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, অনেক আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। কোথাও দুইজন, আবার কোথাও পাঁচ, সাত বা দশজন পর্যন্ত প্রার্থী আছেন। তাই জেলা ও বিভাগভিত্তিক পর্যায়ে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুতই একক প্রার্থীকে মাঠে কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য সকল প্রার্থীকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে—যে-ই ধানের শীষের প্রতীক পাবেন, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে গণসংযোগ ও ভোটারদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ আরও জোরদার করা হবে।
জোটের আসন বণ্টন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, যাদের সঙ্গে সমঝোতা হবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যে আসনগুলোতে বিএনপির জয় সম্ভব, সেগুলোতেই দাবি জানানো হবে। এনসিপির সঙ্গেও রাজনৈতিক আলাপ হয়েছে, তবে আসনভিত্তিক আলোচনা হয়নি।
আওয়ামী লীগ নিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরও দলটির ভেতরে অনুশোচনা দেখা যায়নি, বরং উল্টো গণঅভ্যুত্থানকারীদের অপরাধী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ‘পতিত স্বৈরাচারী নেত্রী’ অভিহিত করে তিনি অভিযোগ করেন, তিনি দিল্লিতে বসে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচার করার দাবিও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা উচিত। প্রধান উপদেষ্টা মেয়াদ প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি নিয়েও তিনি সমালোচনা করেন। তার ভাষায়, “প্রধান উপদেষ্টা নিজেই নির্বাচন পিছিয়ে ফেব্রুয়ারি করেছেন, এতে কার্যত মেয়াদ তিনি নিজেই ঠিক করে দিলেন।”
বিডি/এএন