হাসনাত-সারজিসসহ ৫এনসিপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

Published : ১৭:২১, ৬ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতাকে রাজনৈতিক পর্ষদের অনুমতি ছাড়াই কক্সবাজার সফরে যাওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বলা হয়, “গতকাল ৫ আগস্ট, যা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দিবস—সে দিনে দলের গুরুত্বপূর্ণ চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য কক্সবাজারে ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছেন। বিষয়টি রাজনৈতিক পর্ষদকে আগেভাগে জানানো হয়নি বা কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “আপনাদের এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।” সফরে যাওয়া নেতারা: ১. নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী – মুখ্য সমন্বয়ক ২. সারজিস আলম – মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ৩. হাসনাত আবদুল্লাহ – মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ৪. ডা. তাসনিম জারা – জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ৫. খালেদ সাইফুল্লাহ – জারার স্বামী (দলীয় পদে নেই) তাদের সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলমের স্ত্রীও। কক্সবাজারগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ইএ-৪৩৩-তে তারা ঢাকা ত্যাগ করেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামার পর দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন, এবং কয়েকজনের মুখ ছিল মাস্কে ঢাকা। রাজনৈতিক গুঞ্জন ও গোপন বৈঠকের আলোচনা এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে, কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস-এর সঙ্গে তাদের একটি ‘গোপন বৈঠক’ হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে পিটার হাস বাংলাদেশে গুম-খুন ও নির্বাচনি অনিয়ম নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হন এবং ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনার মুখে পড়েন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জি নামক একটি এলএনজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।
প্রেক্ষাপট ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় “জুলাই অভ্যুত্থান” উপলক্ষে লাখো মানুষের সমাবেশ। এই ঐতিহাসিক দিনের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে কক্সবাজারে যাওয়া এনসিপির নেতাদের কর্মকাণ্ডকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাদের আচরণ দল ও সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।