রাশিয়া যখন নিষিদ্ধ খেলার ময়দানে, ইসরাইল রইল কেন অবাধে?

রাশিয়া যখন নিষিদ্ধ খেলার ময়দানে, ইসরাইল রইল কেন অবাধে? ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৫:৪১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইল চালিয়ে যাচ্ছে গণহত্যা। তবুও দেশটি নির্বিঘ্নে অংশ নিচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। বিপরীতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়া আন্তর্জাতিক ক্রীড়াজগতে নিষিদ্ধ।

কিন্তু কেন এই ভিন্নতা? এর ব্যাখ্যায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানাচ্ছে, ইসরাইল এখনো অলিম্পিক সনদ মেনে চলছে বলেই তাদের খেলোয়াড়রা অলিম্পিক, বিশ্ব অ্যাথলেটিকস, ফুটবলসহ প্রায় সব আসরে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে।

অলিম্পিক সনদের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিটি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি কেবল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমারেখার ভেতরেই কার্যক্রম চালাতে পারবে। কিন্তু ২০২২ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খারকিভ, খেরসনসহ বহু অঞ্চল দখল করেন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার অলিম্পিক কমিটি ওই দখলকৃত এলাকার ক্রীড়া ফেডারেশনকেও নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়, ফলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সীমা পরিবর্তিত হয় এবং অলিম্পিক সনদ ভঙ্গ হয়।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নতুন হামলা শুরু করলেও ইসরাইলের অলিম্পিক কমিটি কখনো ফিলিস্তিনের ক্রীড়া ফেডারেশনকে নিজেদের আওতায় নেয়নি। ফলে অলিম্পিক সনদ অক্ষুণ্ণ থেকেছে।

এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পাশাপাশি তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে। দু’দেশের খেলোয়াড়রা অলিম্পিক, বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোর মতো বড় আসরে খেলতে পারছেন না। এমনকি দেশগুলোর ক্লাব দলকেও চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে সুযোগ দিচ্ছে না উয়েফা। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের অলিম্পিক এবং টেনিসে নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি রয়েছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement