দিনাজপুরে শীতকালীন বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে
Published : ১৯:৫১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
কম খরচ, কম পরিশ্রমে বেশি ফলন ও বাজারদর ভালো থাকায় বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কৃষকদের। ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে বাদামের চাষ।
ব্যবসায়ীরা বলেন বীরগঞ্জের উৎপাদিত বাদাম উন্নতমানের হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকগণ বরেন, উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারদর কম হওয়ায় কয়েক বছর ধরে বোরো ধান চাষে লোকসান গুনছেন হচ্ছে। অপরদিকে কম খরচ আর কম পরিশ্রমে বাদামের বেশি ফলন হয়।
বাদামের বাজারদরও অনেক ভালো। বাদাম বিক্রি করে লাভবান কারণে অনেকের আগ্রহ বাড়ছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন বলেন, বেলে-দোআঁশ মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
চলতি বছর বীরগঞ্জের শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর ও মরিচা ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন চিনা বাদাম চাষ করা হয়েছে। প্রতিবছরই কৃষকেরা বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শসহ সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
এক বিঘা জমিতে বাদাম উৎপাদন হয় ৯ থেকে ১০ মণ। উৎপাদিত ৯ থেকে ১০ মণ বাদাম ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। তাছাড়া বাদাম গাছ গরুর সুষম খাদ্য ও রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক।
বাদাম চাষিরা বলেন, ধানের চেয়ে বাদামের দাম দ্বিগুণের বেশি থাকায় বাদাম চাষ করা হচ্ছে। বাদামের গাছ গরুর সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দিনাজপুরের বাদাম ব্যবসায়ী তপন কুমার বলেন, বীরগঞ্জের উৎপাদিত বাদামের মান উন্নত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষকদের কাছ থেকে বাদাম ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। ভরা মৌসুমে প্রতি মণ বাদাম ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা দরে বেচাকেনা হয়।
অফ সিজনে সেটি আরও ৮০০-৯০০ টাকা বেড়ে যায়। বাদাম রোদে শুকানো থেকে শুরু করে বাছাই করা পর্যন্ত পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি নারী কর্মীদের কর্মসংস্থান হয়েছে। নারী কর্মীরা প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করে সংসার পরিচালনায় ভূমিকা রাখছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বাদাম চাষে তুলনামূলক খরচ কম হওয়ায় বীরগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন আগ্রহী হচ্ছে কৃষকেরা। চলতি বছর বীরগঞ্জ উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। বাদাম চাষের পরিধি বৃদ্ধি, ভালো ফলনের জন্য উন্নত বীজ, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ দেওয়াসহ স্থানীয় কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বিডি/এএন


































