অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর নামে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর তিনি রোববার আদালতে নিজে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি ও মামলার অন্যান্য আসামিরা জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া মেহজুরী চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন আমিরুল ইসলাম। তবে বাদী নিজে সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি মেহজাবীনকে চেনেন না এবং বিষয়টিকে হয়রানি হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, বাদী দীর্ঘদিন ধরে মেহজাবীনকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার প্রলোভন দেখানোর কথা দাবি করেছেন এবং নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন।
মেহজাবীন ও তার ভাই ব্যবসা শুরু না করায়, বাদী যখন টাকা দাবি করেন, তারা “আজকে দেব কালকে দেব” বলে সময়ক্ষেপণ করতেন। পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি টাকা দাবি করতে গেলে, তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে এসে বাদীকে গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বাদী ওই ঘটনার পর ভাটারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরামর্শ অনুযায়ী আদালতে মামলা করেন। আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় ১০ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর মেহজাবীন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তিনি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নন। মেহজাবীন বলেন, তার আইনজীবী ইতিমধ্যেই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন যাতে মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, একজন শিল্পী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি সবসময় দেশের আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেন। মিডিয়ায় তার এক দশকেরও বেশি সময়ের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সাক্ষী তার দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। মেহজাবীন সকলকে অনুরোধ করেছেন, যাচাই ছাড়া ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ না করতে এবং ভক্ত ও পরিচিতজনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।


































