ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপ, আঘাত হানবে কোথায়
Published : ১২:৩৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে রূপ নিয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত বিশেষ আবহাওয়া বিজ্ঞপ্তি নং ৩-এ এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল — চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১,৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১,২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, “গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে—এটা এখন প্রায় নিশ্চিত। সোমবারই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার ভারতের ওডিশা ও তামিলনাড়ু উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, স্থলভাগে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিডি/এএন


































