হামাস আরও দুই ইসরায়েলি বন্দির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে

Published : ১৪:৫৬, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে আরও দুইজন নিহত ইসরায়েলি বন্দির দেহাবশেষ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বুধবার রাতে ইনবার হাইমান ও মুহাম্মদ আল‑আত্রাশ নামে দুই জিম্মির দেহাবশেষ বহনকারী কফিন গাজা সিটি থেকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-কে দেওয়া হয় — খবরটি জানিয়েছে টাইমস অব ইস্রায়েল।
হামাস দাবি করেছে, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুযায়ী তাদের নাগালের মধ্যে থাকা সকল নিহত বন্দির দেহ তারা ফেরত পাঠাচ্ছে। দেহাবশেষই ইসরায়েলে পৌঁছে গেলে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ পরীক্ষার পর কর্তৃপক্ষ দেহাবশেষ দুটি যথাক্রমে ২৭ বছর বয়সী ইনবার হাইমান ও ৩৯ বছর বয়সী মুহাম্মদ আল‑আত্রাশ বলে শনাক্ত করে এবং পরে আইডিএফ তাদের পরিবারের কাছে এই তথ্য জানায়।
আইডিএফ জানিয়েছে, ইনবার হাইমান ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর রে’ইম‑এর কাছে নোভা সঙ্গীত উৎসবে হামাসের ঘাতক হামলার সময় নিহত হন; পরে তার দেহ গাজায় পৌঁছে। অপরদিকে, মুহাম্মদ আল‑আত্রাশ গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডে ট্র্যাকারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন—তাকে ৭ অক্টোবর নাখাল ওজের কাছে সংঘর্ষে নিহত অবস্থায় গাজায় অপহরণ করা হয়েছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকার নিহত দুই বন্দির পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানায় এবং সকল নিহত বন্দিকে তাদের মাতৃভূমিতে সম্মানজনকভাবে দাফন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
হামাসের সামরিক শাখা হস্তান্তরের পর এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির অংশ হিসেবে তারা জীবিত সকল বন্দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে এবং তাদের নাগালের মধ্যে থাকা মরদেহেরও একটি অংশ হস্তান্তর করেছে। তথাপি হামাস জানিয়েছে, বাকি মরদেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে বিশেষ সরঞ্জাম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বুধবার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন— if হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বা চুক্তির শর্ত মানে না, তবে তিনি সামরিক বাহিনীকে হামাসকে ‘চূর্ণ’ করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাৎজের দপ্তর বলেছে, যদি হামাস চুক্তি পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েল যুদ্ধাবস্থা পুনরায় গ্রহণ করতে পারে এবং হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করার লক্ষ্যে অভিযান চালাবে।
উল্লেখ্য, গাজা অঞ্চলে আটক বন্দিদের হস্তান্তর ও তাদের মরদেহের আদানপ্রদান‑সংক্রান্ত বিষয়গুলো গতকাল থেকে সশস্ত্র সংঘাতে শান্তি চেষ্টা ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এসব কার্যক্রমিতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মধ্যস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিডি/এএন