পাকিস্তানে মিলিশিয়ার নেতা নিহত, মরদেহে আগুন

Published : ২০:৫৩, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় বুধবার (২২ অক্টোবর) এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সরকারি সহায়ক মিলিশিয়ার এক নেতা এবং আরও পাঁচজনকে বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। শুধুই হত্যা করেই থেমে থাকেনি হামলাকারীরা; ঘটনার পর তারা গাড়িতে থাকা ছয়জনের মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা দ্য ইকোনোমিক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হামলাকারীরা প্রথমে মিলিশিয়া নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর একই গাড়িতে থাকা অন্য পাঁচজনও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আতঙ্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা মরদেহগুলোতে জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, যাতে কেউ ছয়জনের নিহতের সঠিক চেহারা দেখতে না পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সরকারি কর্মকর্তা জানান,
টিটিপি ওই মিলিশিয়া নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল, কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রতিশোধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামাবাদ নিয়মিত অভিযোগ করছে,
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপি-কে আশ্রয় দিচ্ছে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে হামলা চালানোর সুযোগ দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমাতে ৯ অক্টোবর সীমান্তে সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী শনিবার তুরস্কে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি/এএন