সৌন্দর্যের নেশায় ১৫ বছরে ৪০০ সার্জারি!

সৌন্দর্যের নেশায় ১৫ বছরে ৪০০ সার্জারি! ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:১৯, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার এক নারী সৌন্দর্য ধরে রাখার নেশায় গত ১৫ বছরে প্রায় ৪০০ বার কসমেটিক সার্জারি ও চিকিৎসা করিয়েছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি,

এই রূপান্তরের পেছনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি কোরিয়ান উন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ কোটি টাকারও বেশি (প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার)।

গিল লি ওন নামের এই নারী সম্প্রতি জনপ্রিয় টকশো ‘ইটস ওকে টু নট বি ওকে’-তে অংশ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলামেলা ভাবে শেয়ার করেন। তিনি জানান, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওজন বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের মানুষ তার চেহারা নিয়ে তীব্র কটূক্তি করত।

একপর্যায়ে তার সাবেক প্রেমিকের অবমাননাকর মন্তব্য তাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করে। সেই অপমানই তাকে নিজের চেহারা পাল্টে ফেলার দিকে ঠেলে দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় সৌন্দর্যবর্ধন সার্জারির অন্তহীন যাত্রা।

গিল লি ওন জানান, এত বছর ধরে তিনি ফরহেড ফ্যাট গ্রাফটিং, ডাবল আইলিড সার্জারি, নাক ও ঠোঁটের গঠন পরিবর্তন, গাল ও চিবুকের শেইপ সংশোধন, শরীরের লিপোসাকশন, ফিলার, এমনকি স্টেম সেল ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক চিকিৎসা করিয়েছেন। তার শরীরে এমন কোনো অংশ নেই, যা সৌন্দর্যচর্চার ছোঁয়া পায়নি।

তিনি বলেন, “আমি এখন নিজেকে সুন্দর মনে করি এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করি। আমার এই পরিবর্তন নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই।” তবে, এত সংখ্যক সার্জারির কারণে চিকিৎসকরা তাকে সতর্ক করেছেন, যাতে তিনি আর কোনো অস্ত্রোপচার না করেন।

তবুও, সৌন্দর্য ধরে রাখার তাগিদে গিল লি ওন প্রতিদিনই যান বিভিন্ন ডার্মাটোলজি ও হার্বাল ক্লিনিকে। নিজের তারুণ্য ও সৌন্দর্যকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টায় আজও তিনি থামতে পারছেন না।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement