৪৬ কেজি গাঁজাসহ মন্ত্রীর ভাই গ্রেপ্তার, আদালতে রিমান্ড

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্যের দাবি করেছে পুলিশ। রাজ্যের মন্ত্রী প্রতিমা বাগরির ভাই অনিল বাগরি এবং পঙ্কজ সিংহ নামের আরেক ব্যক্তিকে মোট ৪৬ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে।

মন্ত্রীর নিকটাত্মীয়দের ধারাবাহিকভাবে মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িয়ে পড়া নতুন করে রাজনৈতিক প্রভাব, দায়িত্বশীলতা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

পুলিশ জানায়, মধ্যপ্রদেশের সাটনা জেলায় চলমান মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা গাঁজার বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ২২ হাজার রুপি।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পঙ্কজ সিংহের মারৌনহা গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে ধানের বস্তার ভেতর লুকিয়ে রাখা গাঁজার ৪৮টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি নিয়ে খাজুরাহোতে মন্ত্রী প্রতিমা বাগরির কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি দৃশ্যত বিরক্ত হন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন, “জবরদস্তি কি বাত কিউ কারতে হো তুমলোগ?”—অর্থাৎ “তোমরা অকারণে এসব নিয়ে কথা বলছ কেন?” তার এই প্রতিক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধী কংগ্রেস তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়।

কংগ্রেস তাদের এক পোস্টে লিখেছে, “মাদক পাচার মামলায় গ্রেপ্তার ভাই সম্পর্কে প্রশ্ন করায় দেখুন মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া! বিজেপি সরকারের মন্ত্রীদের আত্মীয়রা এখন প্রকাশ্যেই পাচারের ঘটনায় ধরা পড়ছে।”

ঘটনার পটভূমিতে আরেকটি বিতর্কিত বিষয়ও উঠে আসে। কয়েক দিন আগে মন্ত্রী প্রতিমা বাগরির দেবর শৈলেন্দ্র সিংহ উত্তর প্রদেশের বান্দায় ১০ দশমিক ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন।

তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। আরও জানা যায়, এর আগেও তিনি সাটনা জেলায় প্রায় ৫ দশমিক ৫ কোটি টাকার কফ সিরাপ পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

পরপর ভাই ও দেবরের বিরুদ্ধে মাদক মামলার ঘটনায় মন্ত্রীর নজরদারি, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের বিরুদ্ধেই এনডিপিএস আইনে মামলা করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে তাদের ১২ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।